সূত্রঃ OHCHR এর রিপোর্ট
জাতিসংঘ এর ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের বাংলাদেশ সফরের পর মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার এর কার্যালয় (OHCHR) পক্ষ থেকে বুধবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে পেশ করা হল-
মন্তব্য ও ঘটনাগুলোঃ
• নিহত ১ হাজার ৪শ জনের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ শিশু!
• বিক্ষোভ দমন করতেই সরাসরি গুলি চালানো হয়!
• নারী ও শিশুদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়!
• বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী নিপীড়নমূলক আচরণ করেছে যা মানবতাবিরোধী অপরাধ!
• বাহিনীগুলোর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাও সহিংসতার সাথে যুক্ত হয়!
• গ্রেফতারের পর অনেককেই অমানবিক পরিবেশ পরিস্থিতিতে আটক রাখা হয়!
• ভারতে আশ্রয় নেয়া শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ অস্বীকার করেছেন!
• ভয়াবহভাবে রাষ্ট্রীয় সহিংসতার বিষয়টি সামনে এসেছে!
• গণগ্রেফতার, অমানবিক নির্যাতন এবং বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়!
• কঠোর হস্তে দমনের পরিকল্পনা করা হয়!
• দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৪ জন সদস্য বিভিন্ন জায়গায় নিহত হন!
• অধিকাংশের মৃত্যু সরাসরি নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ছোড়া গুলির কারণে ঘটে!
• পুরো বিষয়টি সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত কৌশলের অংশ ছিল!
• ঘটনাটি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে!
•
সুপারিশঃ
• গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে একটি স্বচ্ছ, পক্ষপাতহীন এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এমন বিচার প্রক্রিয়া প্রয়োজন।
• নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রমে বড় সংস্কার প্রয়োজন যেমন- র্যাবের বিলুপ্তি, বিজিবির দায়িত্ব সীমান্ত নিয়ন্ত্রণেই সীমাবদ্ধ রাখা, ডিজিএফআইকে শুধু সামরিক গোয়েন্দা কার্যক্রমে ব্যবহার, আনসার ও ভিডিপির সামরিকীকরণ হ্রাস করা।
• র্যাব, সেনাবাহিনী কিংবা অন্যান্য বাহিনীর যারা সরাসরি মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিল তাদের জাতিসংঘের মিশনে না পাঠানো।
• গণজমায়েত নিয়ন্ত্রণ করতে প্রাণঘাতী অস্ত্র বা গোলাবারুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, শুধু জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি রয়েছে এমন পরিস্থিতিতে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া।
• পুলিশ কর্তৃক নির্বিচারভাবে গণ গ্রেফতার বন্ধ করা।
• নির্যাতন প্রতিরোধ করতে ও আটকদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে স্বাধীন ব্যবস্থা রাখা।
• সেনাবাহিনীকে শুধু বিশেষ পরিস্থিতিতে খুবই স্বল্প সময়ের জন্য নিরাপত্তা কাজে নিয়োগ দেয়া। সেক্ষেত্রে সংসদের অনুমোদন থাকা।
পুরো রিপোর্টটি অনেক দীর্ঘ বিধায় সেখান থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।